বাংলাদেশিদের পরিচয় সংকট

পড়তে সময় লাগবে: 2 মিনিট

এই মাত্র তিনদিন আগের কথা এক নামকাওয়াস্তে ভদ্রলোক ফেসবুকে বখতিয়ার খলজির কবরের ছবি দিয়ে ক্যাপশন জুড়ে মায়াকান্না শুরু করেছেন। কান্নার সুরটা অনেকটা এরকম যে খলজির কবর অবহেলিত অবস্থায় কেন পড়ে আছে। ব্যাপারটা তাকে বেশ দুঃখ দিয়েছে। কিন্তু সহসা প্রশ্ন জাগলো খলজি আমার কে হয়? তিনি কে, একজন ইরানি! তিনি এখানে, কেন কিভাবে এসেছে!

জেঠিমার সাথে আলোচনায় বসলে উনি সুযোগ পেলেই আমার ধর্মীয় বিশ্বাসকে আলতো করে খোঁচা মারেন তা আলোচনার বিষয়বস্তু যাই হোক না কেন। তবে এই খোঁচামারাটা সহজসরল নির্মল; এতে না আছে কোন ঘৃণা। না আছে কোন বিদ্বেষ। এই খোঁচা মেরে উনি বেশ আনন্দ পান আমি তা ধরতে পারি। এই আনন্দটুকুর বিপরীতে খোঁচাটা খুবই গৌণ। উনি শুধু খোঁচা মারেন এমন না, খোঁচা মেরে উত্তরেরও অপেক্ষায় থাকেন। আমার হালকা জ্বর হলেই তিনি সেটাকে স্রষ্টার ক্ষমতার বহিঃপ্রকাশ বলে ধরে নেন! স্রষ্টা না থাকলে এই জ্বরটা কে দিয়েছে এই টাইপ বাচ্চা বাচ্চা প্রশ্ন! তো সুযোগ পেলে খোঁচা মারার অভ্যেসটি আমিও রপ্ত করেছি, তবে উনার মত নয়! আমি উনার কথার প্রেক্ষিতেই কথায় প্যাঁচকি দিতাম। আমাদের বাড়ির পাশের বাজারের নাম লক্ষীগঞ্জ; তো লক্ষ্মী মানেই ত

বাংলা সনের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট আকবর নাকি শশাঙ্ক এই বিতর্ক শুরু হতে না হতেই বাংলাদেশী মোগলগণ বেশ চাঁচাছোলা কণ্ঠে এগিয়ে আসে। শশাঙ্ক বাঙলার সন্তান হয়ে যদি বঙ্গাব্দের প্রবর্তক হয়ে থাকেন ব্যাপারটা লজ্জার বটে! এমনিতেই হিন্দুর রচিত জাতীয় সঙ্গীত নিয়ে অনেকেই মনঃকষ্টে ভুগছেন; সেই দুঃসময়ে যদি পঞ্জিকার সংবাদটিও তাদের দেওয়া হয় হয় তবে মূর্চ্ছা যেতেই পারেন।

সম্রাট আকবরই যদি প্রবর্তক হোন তাতে এত আবেগে টগবগ করার কী আছে।