প্রুফ সংশোধনে বেশকিছু চিহ্ন বা প্রতীক ব্যবহৃত হয়। নিচে সেগুলোরা ধারাবাহিক ব্যবহার এবং সর্বনিচে উদাহরণ ও প্রয়োগ দেখানো হয়েছে-
লাইন/অনুচ্ছেদ/অক্ষর/বর্ণ
প্রুফ সংশােধনের চিহ্নের আন্তর্জাতিক কিছু স্ট্যান্ডার্ড মেনে চলা উচিত। সঙ্গে দেশের নিয়মও অল্প অল্প উল্লেখ করার চেষ্টা করেছি।
- শব্দের মধ্যে কোনো কোনো সময় বাড়তি অক্ষর বা বাক্যের মধ্য অতিরিক্ত শব্দ বসে যায়। সেই বাড়তি অক্ষর বা শব্দ বাদ দেওয়ার জন্য চিহ্ন ব্যবহার করুন। যেমন-
:“কেমনপ আছেন” বাক্যে কেমন শব্দে একটি অতিরিক্ত প এসে পড়েছে যেটি সরাতে হবে। - কোনো বর্ণ পাল্টে গিয়ে থাকলে তা সংশোধনের জন্য চিহ্ন ব্যবহার করুন।
- কোনো শব্দ/ লাইন/ অনুচ্ছেদ বাদ দেওয়ার জন্য চিহ্নের প্রয়োগ করা হয়। যেমন- “আমি অসুস্থ আছি” বাক্যে আছি শব্দটির প্রয়োজন নেই।
- কোনো অক্ষর/ শব্দ/ লাইন যোগ করতে হলে চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।
- অক্ষর সংযুক্তিকরণ অর্থাৎ একাধিক শব্দ বা অক্ষরের মাঝে ফাঁক থাকলে সেই ফাঁক কমাতে হল চিহ্ন
- শব্দ বা অক্ষর স্থানান্তর করার নির্দেশ চিহ্ন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
- শব্দ বা অক্ষর উল্টে গেছে তার নির্দেশ চিহ্ন
- শব্দ বা হরফ বা লাইন কিম্বা অনুচ্ছেদের মধ্যে ফাঁক দিতে হলে তার নির্দেশ
- শব্দ বা অক্ষরের সন্নিহিত স্থান পরিবর্তন সংশােধন করার নির্দেশ চিহ্ন
- নতুন অনুচ্ছেদ বা প্যারাগ্রাফ হবে না, টানা চলবার নির্দেশ
- নতুন অনুচ্ছেদ বা প্যারাগ্রাফ করার নির্দেশ চিহ্ন
- বাঁকা লাইন সােজা করার নির্দেশ দিতে হলে
বিরামচিহ্ন/যতিচিহ্ন
উপরের ভুগিচুগির তুলনায় বিরামচিহ্নের প্রুফ সংশোধন সহজ। তবু কিছু ঝামেলা এখানেও আছে। মানে আমাদের পূর্বপুরুষদের ইচ্ছাকৃত ঝামেলা। প্রত্যেকটা সহজ ব্যাপারকে জটিল করার মধ্যে কি আনন্দ তারা পেত তা জানি না।
- উর্ধ্বকমা বসাতে হলে চিহ্ন ’ ব্যবহার করতে হবে
- সেমিকোলন বসাতে হলে কেবল ;/ ব্যবহার করলেই হবে।
- বিস্ময়সূচক চিহ্ন বসাতে হলে !/ ব্যবহার করতে হবে।
- প্রশ্নবোধক চিহ্ন বসাতে ?/ ব্যবহার করতে হবে।
- কোনো কিছু উহ্য রাখার জন্য …/ চিহ্ন ব্যবহার করতে হবে।
- অথবা বা ঐচ্ছিক চিহ্নের জন্য (/) ব্যবহার করুন।
- কোন শব্দের নিচে লাইন দেওয়ার জন্য অর্থাৎ আন্ডারলাইন করার জন্য (-) ব্যবহার করুন।
ছোট/বড় হাতের অক্ষর
এটা ইংরেজি পাঠ্যের প্রুফ সংশোধনে কাজে লাগে। বাংলায় বড় হাত বা ছোট হাতের অক্ষর বলতে আলাদা কিছু নেই। তবে কিছু অতি বুদ্ধিজীবী শিক্ষার্থী পেয়েছি আমি জীবনে যারা অল্পপ্রাণকে ছোট আর মহাপ্রাণকে বড় অক্ষর বলে চালিয়ে দেয়। যেমন- ছোট ক, বড় খ। যতই বুদ্ধিজীবী হোক ছোটবড়র কাজ বাংলায় নেই। ভুলে আবার ক থেকে খ সংশোধনের প্রয়োজন হলে এই পণ্ডিতি করতে যাইয়েন না।
- ছোট হাতের অক্ষরকে বড় হাতের অক্ষরে পরিবর্তন করতে ’/ ব্যবহার করতে হবে
- হাতের অক্ষরকে ছোট হাতের অক্ষরে পরিবর্তন করতে ;/ ব্যবহার করতে হবে।